সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদী সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত রক্তাক্ত আহত শিশুর দুই চোখে খুঁচিয়ে নির্যাতনকারী রানী বেগমকে (২২) তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রানী বেগম দেবহাটা উপজেলার চরবালিথা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সোমবার রাত নয়টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের শিশু আলিফ ফরহাদের বাবার নাম মঈনুদ্দীন সরদার। বাড়ি দেবহাটার চরবালিথা গ্রামে। শিশুটির মা না থাকায় সে তার মামা একই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো। মা না থাকায় মামি রাণী বেগমকে মা বলে ডাকতো শিশুটি।
সোমবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার মামী আসামী রানী বেগম শিশু আলিফকে বসত ঘরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তার চোখের আশে পাশে, মুখমণ্ডলে ও নাকে, ঠোটে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে শিশু আলিফ মৃত্যুবরণ করেছে মনে করে আসামী রানী বেগম তাকে বাড়ির পাশে মরিচ্চাপ নদী সংলগ্ন একটি ডোবার মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরে শিশু আলিফের ছোট মামা আশিক বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে।
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশু আলিফকে বাড়ির পাশে মরিচ্চাপ নদী সংলগ্ন একটি ডোবা হতে অচেতন ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় এবং সেখানে তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শিশুটি তখন উপস্থিত চিকিৎসক, সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনদের সামনে তার মামী রানী বেগম তাকে এরূপ ভাবে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে সাতক্ষীরা থানা ও দেবহাটা থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসামী রানী বেগমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ