শ্রীলংকায় তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে সৃষ্ট হওয়া সহিংস বিক্ষোভ থামাতে দেশজুড়ে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই যে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দেশটির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) থেকেই রাজধানী কলম্বোতে সান্ধ্য আইনও জারি করা হয়েছে।
বিবিসির এশিয়া বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা পেরেরা জানিয়েছেন, শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। দেশটির আইনে “ব্যতিক্রমধর্মী হুমকি, বিপদ অথবা বিপর্যয়ের মধ্যে” জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলা রয়েছে।
শ্রীলংকায় জারিকৃত কারফিউয়ের আইনে সাধারণ জনগণের চলাচল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই আইনে কোনো প্রমাণ ছাড়াই যে কাউকে আটক করতে পারে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যার ফলে সাধারণের ভেতর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে সরকার এখন প্রতিবাদকারীদের ওপর আরো বেশি মারমুখী হয়ে উঠবে হয়তো।
দেশটির আদালতেও কোনো চ্যালেঞ্জ করা যাবে না এই আইনের বিরুদ্ধে। এটি ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে অনুমোদন করাতে হবে।
শ্রীলংকায় চলমান তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দুদিন আগে দেশটির প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের সন্নিকটে গড়িতে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতার সৃষ্টি করে সাধারণ জনগন। এই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশজুড়ে চলতে থাকা তীব্র বিক্ষোভ আর সহিংসতা থামাতেই এবার নতুন করে জরূরি অবস্থা জারি করলো শ্রীলংকার সরকার। এর আগে ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে গির্জায় বোমা হামলার পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিলো দেশটিতে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস