জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের ওপর ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগানোর ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। প্রতিকৃতির মুখের ওপর লাগানো পোস্টারের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ( ১৮ মার্চ) তাড়াশ থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গাজী মো. আরশেদুল ইসলাম। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন, গতকাল (১৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে কাজ শেষ করে দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে দেখেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ইসলামি জলসা ও ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগিয়ে অবমাননাসহ ম্যুরালের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ মার্চ তাড়াশ উপজেলা ফাজিল মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মাহফিলে প্রধান বক্তা চরমোনাই পীর মুফতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ উপলক্ষে গতকাল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাহফিলের পোস্টার লাগানো হয়। কে বা কারা ওই মাহফিলের একটি পোস্টার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির মুখে লাগিয়ে দেয়।
বিষয়টি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ সবার নজরে এলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল হোতাদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের ওপর ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই তা ভাইরাল হয়ে যায়। একই সঙ্গে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস