এখন থেকে আবারও রুট পারমিট উল্লেখ সাপেক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের নতুন ভ্রমণ ভিসাধারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণ ভিসায় আবারও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত যাতায়াতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
৭ এপ্রিল উভয় দেশের সংশ্লিষ্টদের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিন রাতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইমিগ্রেশন) নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্র জানায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর রুটে ২০২২ সালে যেসব নতুন ভিসা অনুমোদন পাবে এবং ভিসায় বাংলাবান্ধা রুট যাদের উল্লেখ থাকবে, এমন ভিসাধারীরা রুটটি ব্যবহার করে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইমিগ্রেশন) নজরুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে নতুন কোন ভিসা ইসু হলে এবং বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর রুট উল্লেখ থাকলে ভিসাধারীরা এই চেকপোস্ট দিয়ে দিয়ে ভারত যাতায়াত করতে পারবেন।
পঞ্চগড় জেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সাবেক আমদানি-রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হোসন খাঁন বাবলা বলেন, দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় বন্দর বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের বাণিজ্যিক শহর খুব কাছে। সব সুবিধা গ্রহণ করে এ অঞ্চলের মানুষ তাদের ব্যবসা বাণিজ্য এবং চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করায় এই বন্দর বাংলাদেশের মানুষের নিকট খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। দীর্ঘ ২ বছর মহামারি করোনার কারণে বন্ধ থাকায় মানুষের অসুবিধাসহ সরকার রাজস্ব হারিয়েছে। এটি আবারও চালু হওয়ায় মানুষের সুবিধা বাড়বে বহুগুণে।
জেলার পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী বলেন, করোনা মহামারির কারণে বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের অনুমতি ছিল না। বৃহস্পতিবার থেকে ভিসা আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল