পুলিশের নির্যাতনের পর লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে মো. সায়েদ হোসেন নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত সায়েদ পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
নিহত পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি সাহেদকে আটকের পর ছেড়ে দিতে দুই লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। তা না দিলে মাদক মামলায় চালান দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। পরে টাকা না পেয়ে বেদম মারধর ও নির্যাতন করে সায়েদকে ৩০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়া হয়। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সাহেদ মারা যান।
কারাগার সূত্র ও নিহতের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে মো. সাহেদ হোসেনসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে সায়েদের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। টাকা পেলে ছেড়ে দেয়া হবে, না হলে মাদক দিয়ে চালান করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।
নিহতের বাবা কাশেম জানান, পুলিশকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হলেও সমঝোতা না হওয়ায় সায়েদকে থানা হেফাজতে বেদম মারধর করা হয়। এরপর প্রথমে সায়েদকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবশেষে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সায়েদ। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে অচেতন হয়ে পড়লে হাজতি দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে