পুলিশের টিয়ার শেল-কাঁদানে গ্যাসে পরিস্থিতি শান্ত

স্বাস্থ্য


রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) প্রায় মাঝরাতে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে রাতের সেই সংঘর্ষ গড়িয়েছে দিন পর্যন্ত, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ছিলো বিরতি। সকালে আবারও শুরু হওয়া সংঘর্ষ অবশেষে কিছুটা শান্ত হয় বেলা একটার দিকে পুলিশের টিয়ার শেল আর কাঁদানে গ্যাসে।

রাতে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে সকালে সাড়ে দশটায় সংঘর্ষ শুরু হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কয়েক ঘন্টা পর। সকালে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থামাতে বেলা পৌনে একটার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুটি সাঁজোয়া যান নিয়ে নীলক্ষেত এলাকায় প্রবেশ করে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেলা ১টা ২৫ মিনিটে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস আর টিয়ার শেলে টিকতে না পেরে দৌড়ে সরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আর ব্যবসায়ীরা।

দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢামেক পরিচালক।

নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ জানান, নিউ মার্কেট এলাকায় একটি খাবারের দোকানে দাম দেয়া-নেয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

তিনি আরও জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোশাররফ হোসেন নামে ঢাকা কলেজের ম্যানেজমেনট চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার আঘাত পাওয়ার প্রতীবাদ জানিয়েই মূলত মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীরা আবারও সড়কে অবস্থান নেয়।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে আজ সকালে সড়ে দশটার দিকে আবারও শুরু হয় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষের কারণে নিউমার্কেট এবং আশেপাশের সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দুপুরের দিকে পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস