নিউমার্কেট এলাকায় দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষে নিহত কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী তিলোত্তমা সিকদার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট মেম্বার গলিতে নাহিদের বাসায় যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এ সহ-সভাপতি। এ সময় নাহিদের নববধূ ডালিয়া ও মায়ের হাতে দুটি সেলাই মেশিন উপহার দেন তিনি।
নাহিদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কর্মস্থলের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন নাহিদ। দুপুরে নিউমার্কেট এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান নাহিদ। রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলো নাহিদ। তার ছোট দুই ভাই রয়েছে। একজনের বয়স সাত বছর আরেক জনের বয়স তিন বছর। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন নাহিদ। এরপর আর্থিক টানাপোড়নের কারণে লেখাপড়া আর এগোয়নি। পরিবারের হাল ধরতে কাজে নেমে পড়েন নাহিদ। সাত হাজার টাকা বেতনে গত দুই বছর কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করছিলেন। বেতনের পুরো টাকাই সংসারে দিতেন নাহিদ। নাহিদকে হারিয়ে বাড়ির পরিবেশ এখন আহাজারিতে ভারী। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় নাহিদের। স্বামীকে হারিয়ে শোকাহত ডালিয়া এখন বাকরুদ্ধ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ঢাবির সিনেট সদস্য তিলোত্তমা সিকদার বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সাময়িকভাবে এ পরিবার যেন জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, সেজন্য আমি নাহিদের মা ও তার স্ত্রীকে দুটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছি। যদিও তাদের এই ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ হবার নয়, আমি শুধু তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মনোবল কিছুটা ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এআর/কেএ