গত ১৫ এপ্রিল ঘুরাঘুরির কথা বলে গার্মেন্টস কর্মী শারমিন বেগমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানার ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় এবং কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সেটা অস্বীকৃতি জানায় এবং ধর্ষণের ঘটনা সে নালিশ করবে বলে গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দেয় সুমন নামের এক রিকশাচালক।
রোববার রাজধানীর খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী কালীবাড়ি মোড় এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুমন কুমারকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে বাংলাদেশ জার্নালকে জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, রাজধানীর খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল মাটি চাপা দেয়া শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গ্রেপ্তার সুমন কুমার পেশায় একজন রিকশাচালক। ভিকটিম শারমিন খিলক্ষেতে এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। সুমন কুমার বেশ কিছুদিন ধরে শারমিনের গার্মেন্টস ও বাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে অনুসরণ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ১০/১২ দিন আগে শারমিনের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয়। চার-পাঁচ দিন ধরে শারমিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১৩ এপ্রিল ভিকটিমকে তার রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। ১৫ এপ্রিল ঘুরাঘুরির কথা বলে ভিকটিমকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেত থানার ৩০০ ফিট এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় এবং কৌশলে তাকে ধর্ষণ করে।
গ্রেপ্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর র্যাব জানায়, ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা গোপন করতে বললে সেটা অস্বীকৃতি জানায় এবং ধর্ষণের ঘটনা সে নালিশ করবে বলে সুমনকে জানায়। এতে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম সুমনের এক বন্ধুর কাছ থেকে উদ্ধার করেছে।
এর আগে ১৬ এপ্রিল সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকার ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে মাটি চাপা অবস্থায় শারমিন বেগম এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/কেএ