লক্ষ্মীপুরে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে শহরের উত্তর তেমহুনী থেকে কাঞ্চনী বাজার সড়কে শ্লীলতাহানির এ ঘটনা ঘটে। পরে তরুণীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা হলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রিপন, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. খোরশেদ আলম ও স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দুলাল হোসেন।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর নিউ মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। প্রতিদিনের মতো ডিউটি শেষে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের উত্তর তেহমুনী এলাকা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে নিজ বাড়ি কাঞ্চনী বাজারে যাচ্ছিলেন। এর আগেই যাত্রীবেশে অটোতে বসে ছিলেন অভিযুক্ত রিপন ও নিজাম উদ্দিন।
অটোরিকশাটি মজু চৌধুরীহাট রোডের নতুন মহিলা কলেজ এলাকায় পৌঁছলে রিপন ও নিজাম জোরপূর্বক ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় চিৎকার করতে থাকলে এক পর্যায়ে তরুণীকে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে জনতা বাজারের সামনে পৌঁছলে অভিযুক্তরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও ফের শ্লীলতাহানি করে। এরই মধ্যে গ্রাম পুলিশ দুলাল এসে তরুণীকে উদ্ধার না করে একই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় রাতে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগী তরুণীর মা লিলি বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ চররুহিতা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে