ঠাকুরগাঁওয়ের সব রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা

স্বাস্থ্য


ঠাকুরগাঁওয়ে সসব হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধ ঘোষণা করেছে হোটেল মালিক ও শ্রমিক সমিতি। জেলার বেকারিগুলোতে শ্রমিক না থাকার শঙ্কায় বেকারিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকেরা।

মঙ্গলবার রাতে জেলার হোটেল রেস্তোঁরা ও বেকারি শ্রমিক সমিতির সাথে হোটেল মালিক সমিতি একযোগে এই ঘোষণা দেয়।

জানাগেছে, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ এর অধীন ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’ পরিচালনা করেন ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার। ওই আইনের তফসিলে বর্ণিত ৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শহরের চৌরাস্তার হোটেল গাওসিয়া ও হোটেল রোজ এর ম্যানেজার দ্বয়ের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

দুটি হোটেলে তিন লাখ করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ সময় রোজ হোটেলের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও গাওসিয়া হোটেলের ম্যানেজারকে আটক করা হয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই হোটেলের অর্ধশত শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ও চৌরাস্তা ট্রাফিক মোড়ে ইফতারি খাবার ফেলে প্রতিবাদ শুরু করেন। এ সময় শ্রমিক হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে আটক শ্রমিকের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ঘোষণা করে দুই হোটের শ্রমিকরা।

রাতে সেই দুই হোটেল শ্রমিকের সাথে একাত্ম প্রকাশ করে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন ঠাকুরগাঁও জেলা হোটেল ও বেকারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন।

জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা গরিব হোটেল শ্রমিক। দিন রোজগার করি, দিন খাই। আমাদের উপর জেল জুলুম কেন? আমাদের শ্রমিকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হোটেলে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের শ্রমিক ভাইদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমরা আর কাজে যাবো না। কোনো হোটেলে কাজ করবো না। না খেয়ে মরে যাবো, তবুও কাজে যাবো না।

একইভাবে অতিরিক্ত জরিমানা ও হেনস্থার প্রতিবাদে হোটেল শ্রমিকদের সিদ্ধান্তে একাত্মতা জানিয়ে জরিমানা বাতিল না করা পর্যন্ত হোটেল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি অতুল কুমার পাল।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইনে তুচ্ছ ভুলের কারণে হোটেল রোজ ও গাওসিয়াকে তিন লাখ করে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেন চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। এ সময় রোজ হোটেলের ম্যানেজার ও গাওসিয়ার ম্যানেজারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছর করে সাজা দেয়া হয়। এ কারণে কর্ম বিরতি দিয়েছে শ্রমিকরা। তারা হোটেলে না এলে হোটেল খোলা রাখা বন্ধ রাখা সমান কথা৷ আমরা তাদের সিদ্ধান্তে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে অতিরিক্ত জরিমানা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরাও হোটেল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার জানান, বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে