ভুয়া বিল প্রদানের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে এক যুগেরও বেশি সময় পর চট্টগ্রামে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা ও এক ঠিকাদারকে মোট এক বছর নয় মাসের দণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া করা হয়েছে ১১ লাখ টাকারও বেশি জরিমানা।
সোমবার বিচারের প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর ও ছাগল উন্নয়ন কর্মসূচির সে সময়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আলেক মণ্ডল এবং ওই কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলম ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক মো. মাহবুব আলম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তিনজনকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেকের তিন মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তিন আসামিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ৪৭৭ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর (২) ধারায় আসামিদের তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত তিনটি ধারায় আসামিদের মোট ১ বছর ৯ মাস কারাদণ্ড এবং ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাগল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সীমানা দেয়াল নির্মাণ না করে অতিরিক্ত ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৮২ টাকার বিল প্রদানের অভিযোগে ২০০৯ সালে হাটহাজারী থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এতে মো. আলী আকবর, আলেক মণ্ডল এবং মাহবুব আলমকে আসামি করা হয়।
২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৮ আগস্ট মামলার চার্জগঠন করা হয়। মামলায় মোট ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরপর আজ সোমবার তিন আসামির বিরুদ্ধে উক্ত রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ