গলাচিপায় গৃহবধু রুমানা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ জন

স্বাস্থ্য


পটুয়াখালীর গলাচিপায় গৃহবধূ রুমানা আক্তারকে (১৯) হত্যার অভিযোগে শ্বাশুড়ি ঝর্ণা বেগম, দেবর টিপু ফেরদাউস এবং ননদ সীমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুমানার মা সাজেদা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করে এদিনই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।

অভিযোগে জানা যায়, তিন মাস পূর্বে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে ছোটচত্রা গ্রামের বেল্লাল হাওলাদারের সাথে দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলীপুরা গ্রামের বাবুল হাওলাদার ও সাজেদা বেগমের মেয়ে রুমানার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই খুটিনাটি বিষয় নিয়ে পরিবারের প্ররোচনায় রুমানার উপর শাররিক নির্যাতন চালাত স্বামী বেল্লাল।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় মুঠোফোনে রুমানার পরিবারকে বেল্লাল জানায় রুমানা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দ্রুত হাসপাতালে আসার অনুরোধও জানায় তাদের। তারা এসে দেখতে পায় রুমানা মৃত। স্বামী কিংবা শ্বশুর বাড়ির কোন লোকজন সেখানে উপস্থিত নেই।

রুমানার মা সাজেদা বেগম জানান, শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃত রুমানাকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বেল্লালসহ তার পরিবারের লোকজন রুমানার লাশ রেখে পালিয়ে যায়। শ্বশুর পরিবারে লোকজন মিলে সুপরিকল্পিতভঅবে হত্যা করেছে, এমন দাবি তার।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ রুমানার লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করেছে।

বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রুমানার মা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রুমানার স্বামী বেল্লাল হাওলাদার, শ্বশুর শহিদুল হাওলাদার, শ্বাশুড়ি ঝর্ণা বেগম, দেবর টিপু ফেরদাউস এবং ননদ সীমা বেগমসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গলাচিপা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস