কোনো হাহাকার নাই, কেউ না খেয়ে থাকছে না: কৃষিমন্ত্রী

স্বাস্থ্য


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, উনি সারাদিন ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন, দেশ ডুবে গেলো, মানুষ না খেয়ে মরছে। দেশে কোনো দুর্ভিক্ষ চলছে না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা আমরা অস্বীকার করছি না। সবজিসহ কোনো কোনো জিনিসের দাম বেশি। তবে দেশে কোনো হাহাকার নেই, কোনো মানুষ না খেয়ে থাকছে না।

রোববার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরের সবুজ বাংলা কৃষি খামারের সমন্বিত ফল বাগান ও পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে সারের দাম অস্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে সারের দাম এক টাকাও বাড়েনি, উল্টো কমেছে। বিএনপি সরকারের আমলে ডিএপি সার ছিল ৯০ টাকা, বর্তমানে এ সারের দাম মাত্র ১৬ টাকা। টিএসপি সারের দাম ছিল ৮২ টাকা, বর্তমানে ২২ টাকা। পটাশিয়াম সার ছিল ৬০ টাকা, তা আওয়ামী লীগ সরকার কমিয়ে ১৫ টাকায় এনেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিক্ষেত্রে যে প্রণোদনা দিয়েছে সেটা পৃথিবীতে আর কোথাও হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষিকে আমরা বাণিজ্যিকীকরণ করতে চাই। যাতে করে কৃষিকাজ করে কৃষক লাভবান হয়। আর সেই লাভের টাকায় তার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়, ভালো খেতে পারে, ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারে। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো কৃষকদের ন্যায্যমূল্য বিধান করা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

মন্ত্রী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লাহ সমন্বিত ফল বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে অন্য কৃষকদেরকে তাকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামর কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজির আলম, জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই লাহী চৌধরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে কৃষি বিভাগের বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। এর আগে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুলের তোড়া দিয়ে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে