অ্যালেক্স, ৪৫ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় নাগরিক। কাজ করতেন দেশটির একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। শৈশব থেকেই ছিলেন একজন শিকারী। সবসময় লাইসেন্সসহ বন্দুক সঙ্গে রাখতেন। এখন রাইফেল হাতে দেশের হয়ে রাশিয়ান সৈন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে তখনই আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন অ্যালেক্স। শুধু অ্যালেক্সই নন তার মতো আরও এক লাখ জন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
কিভের উপকণ্ঠে একটি জঙ্গলে যুদ্ধের অনুশীলন নিচ্ছেন অ্যালেক্স। তিনি বলেন, মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম তাই দেশের হয়ে যুদ্ধে নেমেছি।
স্নাইপার হাতে রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য অপেক্ষা করছেন অ্যালেক্স। এছাড়াও অন্যান্য সাধারণ নাগরিক যারা যুদ্ধ করতে প্রস্তুত তাদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি।
ইউক্রেনীয় এ যোদ্ধা বলেন, যেকোনো যুদ্ধে স্নাইপারদের কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ইতিহাস দেখলেই বুঝা যায়। কারণ তারা অন্য সৈন্যদের রক্ষা করতে পারে।
”রাশিয়ান বাহিনী শহরে প্রবেশের চেষ্টা করবে, নাকি বাইরে থেকে বোমাবর্ষণ করতে থাকবে?” এ বিষয় নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন অ্যালেক্স।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি জানি না রাশিয়ান বাহিনী কি করবে। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। অনুশীলন করতে হবে। দেশের ভূমি রক্ষায় কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।
এদিকে প্রায় এক মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের অবসান টানতে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়াও ২০১৪ সালে দখলে নেয়া ক্রিমিয়াকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রশ্নে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে