দীর্ঘ ৭৭ ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ঢাবির মেডিক্যাল সেন্টারে অনশনরত শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন রনি।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মেডিক্যাল সেন্টারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ডাবের পানি খাইয়ে রনির অনশন ভাঙান।
রনির ৬ দফা দাবির সাথে একাত্মতা পোষন করে উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে কিছু দাবি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নতুন একটি ভবন দুই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে।
এসময় উপাচার্য ওই শিক্ষার্থীকে ভালো কোনো হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসার মান উন্নয়ন ও সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির ৬ দফা দাবিতে গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন একই মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন রনি।
তার ৬ দফা দাবিগুলো ছিল
১. মেডিকেল সেন্টারের এন্ট্রি পয়েন্টে ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন করা
২. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক লিফ্ট, র্যাম্প, হুইল চেয়ার ও অন্যান্য এক্সেসোরিজ প্রদান করা
৩. মেয়ে শিক্ষার্থীদের অন্তর্বর্তীকালীন শারীরিক সমস্যার সকল চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করা
৪. অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট বা মেশিন স্থাপন করা
৫.মেডিকেল সেন্টার কর্তৃক নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রদান ও ক্যান্টিন স্থাপন করা
৬. অতিদ্রুত হাইকমোড, তথা হাইলি ডেকোরেটেড স্যানিটেশন সিস্টেমে টয়লেট, বাথরুম তৈরি করা।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে