আসামি ধরতে গিয়ে নারীর ওপর শারিরিক নির্যাতন ও তল্লাশির নামে আলমারি থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মুঠোফোন লুট করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাহবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আশরাফুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল রোববার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী খালেদা আক্তার চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবরে এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা, স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি সীতাকুণ্ড সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপি ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে জমা দেন।
লিখিত অভিযোগে খালেদা আক্তার উল্লেখ করেন, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এস আই মাহাবুব মোরশেদ ৫জন পুলিশ কন্সটেবলসহ খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভূক্ত আসামি নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাকে না পেয়ে এস আই মাহবুব আলমারির চাবি দিতে বলেন। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রি করা দেড় লাখ টাকা ও ছেলে রিয়াজ উদ্দিন হৃদয়ের স্কুল-কলেজের সার্টিফিকেট জব্দ করে নিয়ে যায়।
ভোক্তভোগী নারী খালেদা আক্তার বলেন, তিনি এ ঘটনার পর থেকে পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। বিষয়টির প্রতিকার পেতে রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিকালে তিনি থানায় অভিযোগের অনুলিপি জমা দিতে গেলে প্রথমে তা না নিয়ে তাকে থানা থেকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে তিনি তাতে অসম্মতি জানানোর পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক মাহবুব মোরশেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি ওই বাড়িতে যাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার করতে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরাও তাকে ধাওয়া করি। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে ছায়াতদন্ত করে দেখতে বলেন। পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে যদি এ রকম ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়, তাহলে আর চাকরি করা যাবে না।
সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.আশরাফুল করিম জানান, অভিযুক্ত এস আই মাহবুব মোরশেদকে সীতাকুণ্ড থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ